ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ছোট হাঁসদা, ‘সাঁওতাল’ বলেই ‘তাকে এলাকার কবরস্থানে দাফন করতে দেয়নি একদল গ্রামবাসি’। এ ঘটনাটি ঘটেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউপির পূর্ব নারগুন গ্রামে ।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি দুলাল তিগ্যা বলেন , সোমবার বিকাল ৪টার দিকে সাওঁতাল ছোট হাঁসদা (৪৯) নামে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর এক সদস্য হৃদরোগে মারা যান। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ছোট হাঁসদার বাড়ির পাশে খাস জমির একটি কবরস্থানে তাকে সমাহিত করতে কবর খনন করা হয়। তাকে দাফনের সময় ওই এলাকার মামুন নামে এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে একদল লোক এসে বাঁধা দেন এবং উছৃংখলরা কবরটি মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়।
এসময় নারগুন ইউপি চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলামকে জানিয়েও কোন ফল হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ছোট হাঁসদাকে তার শ্বশুরের কৃষি জমিতে ২১ ঘন্টা পর দাফন করা হয়।
মৃত ছোট হাঁসদার শ্যালিকা মিনতি মার্ডী অভিযোগ করে বলেন, কবর স্থানটি খাস জমিতে গড়ে উঠেছে। এ কবর স্থানে আদিযুগ থেকে আমরা এবং মুসলিম সমাজ পাশাপাশি মৃতদের সমাহিত করি। কেউ কোন দিন বাঁধা দেয়নি। আজ হঠাৎ করে কেন যে বাঁধা দিল এ বলে তিনি চোখের পানি মুছেন আর বলেন ‘আমরা আদিবাসী তাই তারা আমাদের প্রতি নির্দয় আচরন করছে।
বাপই মার্ডী নামে এক যুবক বলেন, ‘মরার আবার জাত কি’ ! আমরা‘তো সবাই মানুষ এই বলে তিনি কেঁদে দেন।
নারগুন ইউপি চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে ওর্য়াড মেম্বার (ইউপি সদস্য) নূর নবীকে পাঠিয়েছি। নূরনবী নুরু বলেন , সমাজে ধর্মীয় গোঁড়ামি আছে। কবরস্থানটি যেহেতু সরকারি ভবিষ্যত্বে এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এজন্য সাতদিনের মধ্যে এলাকাবাসীকে নিয়ে বৈঠক করা হবে।
https://slotbet.online/