জেলা প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে মনিরুল ইসলাম নামে বরখাস্ত হওয়া এক পুলিশ কনস্টেবলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ের আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর আদালতের বিচারক এরফান উল্লাহ এই রায় দেন।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মশিউর রহমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামি এর আগে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। পরে তিনি পুলিশ থেকে বরখাস্ত হন। আজ রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার চর কালীগঞ্জ গ্রামের সাহেব আলী প্রামনিকের ছেলে।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি মনিরুল ইসলাম ২০১৮ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর তার পার্শ্ববর্তী সুরভী খাতুনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মনিরুল ইসলাম তার স্ত্রী সুরভী খাতুনের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও মারধর করতেন। এর মধ্যে সে অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। মনিরুল ইসলাম তার স্ত্রীকে বলতেন, তোকে আমার পছন্দ হয়নি। তুই বিষপানে আত্বহত্যা কর। আমার পথটা পরিস্কার করে দে।
এর একপর্যায়ে ২০২০ সালের ২৭ আগষ্ট সুরভী খাতুন তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে মনিরুল তার স্ত্রীকে ফোন করে বাড়ির বাইরে আসতে বলেন। পরে মনিরুল তার স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান। পরেরদিন ২৮ আগষ্ট দুপুরে প্রতিবেশী নালু মন্ডলের ডোবার পানিতে সুরভী খাতুনের মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা তার পরিবারকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সুরভীর বাবা শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মনিরুল ইসলাম, তার ভাই মোন্নাফ হোসেন, মা মোনেকা বেগমসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ মনিরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে ২৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে আজ পুলিশ কনস্টেবল মুনিরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।
https://slotbet.online/
I like this blog it’s a master piece! Glad I noticed this ohttps://69v.topn google.Raise blog range