মুসলিমুর রহমান পার্বতীপুর থেকে–
সমাজসেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে যেতে দৃঢ়প্রত্যয়ী ব্যক্ত করেছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক।
তিনি একান্ত সাক্ষাতকারে এই অভিমত ব্যক্ত করেন। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই তিনি জনকল্যানে অনবদ্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। যে কারনে অবিরত ছুটে চলেছেন মানুষের কল্যাণে। তিনি জীবনের অনেকটা পথ অতিক্রম করেছেন নানারকম বাঁধা আর বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে। কিন্তু এতসব প্রতিকূলতা পেরিয়ে নিজের অবস্থান তৈরিতে অনেকাংশেই সক্ষম হয়েছেন তিনি। ব্যাক্তিগত ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি আজ পুরটাই সফল মানুষদের কাতারে।
সমাজের কিছু মানুষ এখনো রয়েছে যারা বিপদে নিজের সবটুকু দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায় এমন গোচের নেতা হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক। কয়েক বছর আগে বিশেষ করে ভয়াবহ করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) সংক্রমনের সময় যখন কেউ নীরবে আবার কেউ প্রকাশ্যে সহযোগিতা করে যাচ্ছিলেন, অসহায় দুঃস্হ, কর্মহীন, ঘর বন্দী মানুষদের।
সেই সমস্ত দানবীরদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক।
সে সময় তিনি অসহায়, দুঃস্হ, কর্মহীন, শিশুসহ ঘর বন্দী মানুষের পাশে দাড়িয়েছিলেন দ্বিধাহীন চিত্তে। এসব করেছেন কখনো নিজের উদ্যোগে আবার কখনো অন্যান্য সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায়।অভাবনীয় সত্য তিনিই প্রথম পার্বতীপুরে পিপিই, মাস্ক,হ্যান্ড স্যানিটাইরাজার, নগদ টাকা, শিশু খাদ্য, রান্না করা খাবার, চাউল, আটা, আলু’র মতো খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন। তিনি ধর্মীয় কাজে নিজের জমি ও পুকুর দান করে দিয়েছেন৷
এছাড়াও তিনি কিছুদিন পূর্বে পার্বতীপুরের বিভিন্ন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদের ঈমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেমদের প্রতি আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঈদ ও করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ব্যক্তিগত ভাবে তিনি উপজেলার ১৩৫জন ঈমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেমদের হাতে তুলে দিয়েছেন নগদ অর্থ। এতে ঈমামরা পেয়েছিলেন ১২০০ টাকা আর মোয়াজ্জিন ও খাদেমরা পেয়েছিলেন ৮০০ টাকা করে।যেখানে মোট অর্থের পরিমান দাড়ায় ২লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা।
পার্বতীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক সমাজের বিপদগ্রস্ত অসহায়দের কল্যাণে তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সাধ্য অনুযায়ী প্রতিদিনই মানুষকে সহযোগিতা করেন যা অনস্বীকার্য । সরকারী ও বিভিন্ন সংস্হা কতৃক প্রদত্ত ত্রান সামগ্রী অসহায়, দুঃস্হ, প্রতিবন্ধী, কর্মহীন, ঘর বন্দী ও শিশুদের মধ্যে বিতরনে জুড়ি নেই তার। তার দান দক্ষিনার বিষয়টি ও মানুষের সেবায় রাখা অবদানের কথাগুলো মাঝে মধ্যে বহুল আলোচিত হয়ে ওঠে বিভিন্ন জাতীয় এবং স্থানীয় পত্র-পত্রিকায়।
হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এদিকে
মানুষের কল্যাণে সহযোগিতার হাত বাড়ানো ও সমাজের মানুষদের মাঝে শান্তি, শৃঙ্খলা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি আপোষহীন অবস্থানে রয়েছেন বলেও জানা যায়।
তিনি জানান, যত দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবো তত দিন পর্যন্ত মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দিয়ে যাবো ৷ দেখতেই পাচ্ছেন আমার সাধ্য অনুযায়ী আমি মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি আজীবন করেও যাব ইনশাআল্লাহ।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বলেন,আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর সেবা করার মধ্য দিয়েই আমি আমাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। আমি ইতিপূর্বে দীর্ঘ ৫ বছর পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সহ লাগাতার সভাপতি হিসেবে পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছি ।
এরই মধ্যে একবার রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর দু’বার পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। ভবিষ্যতে করার আশা রাখছি আল্লাহ মর্জি। আমার দীর্ঘবিশ্বাস,আমার জন্মভূমি পার্বতীপুরের মাটি মানুষ ২০২৪ সালের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও চেয়ারম্যান পদে আমাকে নির্বাচিত করে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিবেন।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/