• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইউপি ভূমি সহকারী কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে, কর্মকর্তা নিয়োগ ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু আদিবাসীদের নিয়ে দিনব্যাপী ফুটবল টুনামেন্ট অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক চর্চার আরেক প্রাণ পুরুষ রবিউল আজম ঠাকুরগাঁয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন বন্যার্তদের ৪ লাখ টাকা দিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষার্থীরা খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তি  রক্ষায় সভা অনুষ্ঠিত এমপি’র ছোঁয়ায় শত কোটি টাকার মালিক মুক্তা রাণী ! বন্যাদুর্গত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণপূর্বক পুনর্বাসনের আহবান কৃষি উপদেষ্টার শত কোটি টাকার মালিক কে এই ন্যাংড়া স্বপন !

শিক্ষক সংকটে ‘নাকাল’ ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক্যাল !

Reporter Name / ২২০ Time View
Update : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক্যাল ইনস্টটিউিট। শিক্ষক ও আবাসন সংকটে নাকাল কারিগরি শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানটি। আবাসন ব্যবস্থার অভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষক- শিক্ষাথীরা। থাকা-খাওয়ার সমস্যার জন্য প্রতিষ্ঠানটির নারী শিক্ষার্থীদের ভর্র্তির হার দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে । বর্তমানে পড়া-লেখা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ ছাত্রী।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, ২০০৪ সালে ঠাকুরগাঁও বিসিক এলাকায় ২ একর জমির ওপর স্থাপন করা হয় কারিগরি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এখানে পাঁচটি টেকনোলজিতে ১১১ জন শিক্ষক পদের বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৩৪জন। এর মধ্যে ৩ জন রয়েছে প্রেষণে। জমির অভাবে ল্যাবের আয়তন বাড়ানো যাচ্ছে না। ফলে এ প্রতিষ্ঠানটি তার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে একজনকে প্রতিদিনি স্বাভাবকি ৫-টি ক্লাসের স্থলে দুই শিফটের দ্বিগুন ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে পাঠদানে শিক্ষকরা যেমন মনোযোগ রাখতে পারছেন না, তেমনি শিক্ষার্থীরা মানসম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সংকটরে কারণে অতিথি শিক্ষক দিয়ে দায়সারা পড়ালেখা চলছে এ প্রতিষ্ঠানে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ইনস্টিটিউটে ৫টি টেকনোলজিতে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী প্রকৌশল বিদ্যায় পড়াশোনা করছে। দুই একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা নেই। ফলে শহরের বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মেসে থেকে পড়াশোনা করতে হয়। এতে বাড়তি খরচসহ নিরাপত্তা নিয়ে ও নানা বিড়ম্বনায় পড়েন তারা।

উপেন চন্দ্র রায় বলেন, ‘এভাবেই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ হয়ে গেলো। না পেলাম শিক্ষক, না পেলাম হল সুবিধা। আবাসন সুবিধা না থাকায় যাতায়াতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের পরের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা যেন এই সমস্যাগুলোর সম্মুখীন না হয়।’

একই কথা জানান আরেক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, এখানে বেশির ভাগই শিক্ষক সদ্য পড়াশোনা শেষ করা ছাত্র কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানের । যাদের অনেকেই ল্যাবের মেশিনারি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান নেই।

ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক্যাল ইনস্টটিউিটের চিফ ইনস্ট্রাক্টর সঞ্জয় বণিক জানান, এখানে শিক্ষক, র্কমচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আবাসন ব্যবস্থা নেই। অধ্যক্ষের জন্য একটি বাসভবন আছে। ইনস্টটিউিটরে অধ্যক্ষ মাকসুদুর রহমান বলেন জোড়াতালি দিয়ে চলছে এই প্রতিষ্ঠানটি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
https://slotbet.online/