নিজস্ব প্রতিবেদক
ঠাকুরগাঁও : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের দৌড়ঝাপ। বিশেষ করে সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা জানান দিচ্ছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিজেদেরকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। এছাড়াও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও ধরনা দিচ্ছেন তারা।
ঠাকুরগাঁও–২ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেকে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসাবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর মরহুম দবিরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ আহসান উল্লাহ ফিলিপ।
আহসান উল্লাহ ফিলিপের জন্ম ১৯৬১ সালের ২০ মে। শিক্ষা জীবন শুরু হয় জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নিজ বাড়ি বামনিয়া গ্রামে। ১৯৭৬ সালে এসএসসি পাশ করার পর নানার বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া কলেজ হতে এইচএসসি সম্পন্ন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলায় অনার্স, মার্ষ্টাস ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। শিক্ষা জীবন শেষে ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিতে ৯ বছর চাকুরী করেন। স্ত্রী ছিলেন কলেজের শিক্ষক। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠ। দুই ভাই এক বোন। মা এখনও বেঁচে আছেন।
১৯৯৭ সালে ডিভি লটারী পান তিনি। সে সময় আমেরিকায় যেতে না চাইলেও চাকুরী জীবনের এক সহকর্মীর অনুপ্রেরণায় অবশেষে ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি আমেরিকা প্রবাসী হন। আর স্ত্রী–সন্তান বাংলাদেশেই থাকতো। তাদের টানে দু’বছর পর পর বাংলাদেশে আসতে হতো।
আহসান উল্লাহ ফিলিপ আলোচনার এক পর্যায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলী। যা আমাদের প্রত্যেকের লিখে রাখা উচিত। এই ইতিহাসকে ধরে রাখতে চাইলে লিখার কোন বিকল্প নেই। এক সময় বই পুস্তকে জানতে হবে। সরাসরি গল্প শোনার মতো কেউ থাকবে না। এছাড়াও স্থানীয় রাজনীতি এবং বড় ভাই ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন দীর্ঘদিন। সে কারণে মাঝে মধ্যেই আসতে হতো।
২০১৮ সালে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু স্থানীয় সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামে অনুরোধে সে বছর তিনি পিছিয়ে যান। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় আ’লীগের নেতা–কর্মী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থরের মানুষের সাথে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
তিনি পিতার আদর্শকে ধারণ করে ক্লিন রাজনীতিবিদ হিসেবে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন আওয়ামীলীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ এবং তিনিও চান প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ক্লিন ইমেজের প্রার্থী মনোয়ন দেওয়া। সে হিসেবে ঠাকুরগাঁও–২ আসনে আ’লীগে ক্লিন ইমেজের দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি না থাকায় তিনিই হবেন নৌকার মাঝি।
তিনি আমেরিকায় থাকাকালীন সময়ে আওয়ামীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি বলেন রাজনীতি কিছু মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগ সেই ভূল করবে না। আমরা কখনও দলের কাছে সুবিধা নেইনি। তিনি উদাহারণ দিয়ে বলেন এক সময় অনেক জমিদার ছিল কিন্তু আজ সেই জমিদার নেই। পরিবর্তন হয়েছে, আমিও আশাবাদী এই আসনে পরিবর্তন হবে।
ঠাকুরগাঁও–২ আসনের জামাত বিএনপির প্রভাব বেশী, সেক্ষেত্রে কি ভাবে মোকাবিলা করবেন ? এক সময় সেটা ছিল কিন্তু এখন আর নেই। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমার বড় ভাই আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু সেই নির্বাচনে বর্তমান সংসদ নৌকা মার্কার বিরোধীতা করেছিলেন।
এছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন– ঠাকুরগাঁও–২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আলম টুলু, মাজাহারুল ইসলাম সুজন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার রায়।
https://slotbet.online/