স্টাফ রিপোর্টার : ঠাকুরগাাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের চোংগাখাতা গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কছিরুল (৩২) এর বিরুদ্ধে। ওই নারী বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকালে গড়েয়া বাজারে মুজাহিদের চাতালে এ ঘটনা ঘটে। কছিরুল ঠাকুরগাাঁও সদর উপজেলার আরাজী ঢাঙ্গীপুকুর গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে।

অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকালে গড়েয়া বাজারে মুজাহিদের চাতালে যাওয়ার সময় কছিরুল পিছন দিক থেকে এসে জরিয়ে ধরে ওই নারীর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। এবং এক পর্যায় জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।

ধর্ষণে ব্যর্থ হলে হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দ্বারা মাথায় আঘাত করে এবং গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তবে ওই নারীর সাথে কছিরুলের বাবা রতন মিয়ার দীর্ঘদিনের অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে স্থানীয়রা জানায়। বিষয়টি কছিরুলের পরিবার এবং কছিরুল মেনে নিতে না পেরে ওই নারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এভাবে মারধরের বিষয়টি ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে কছিরুল বলেন মুজাহিদের চাতালে ওই নারীর ছাগল ধান খেতে আসলে ইট দিয়ে ঢিল দিলে নারীর মাথায় গিয়ে লাগে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। তবে প্রত্যক্ষদর্শী সিদ্দিক বলেন ছাগল নিয়ে কোন ঘটনা ঘটেনি। কছিরুলই ওই নারীকে মারধর করেছেন।

কছিরুলের বাবা রতন মিয়া ওই নারীর সাথে সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক থাকতেই পারে। সমাজে চলতে গেলে মানুষের সাথে উঠা-বসা করতে হয়। তবে মারধরের বিষয়টি ঠিক হয়নি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম আজম বলেন এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এব্যাপারে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন বিষয়টি জেনে বিস্তারিত জানা যাবে।

এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস