ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিংপাড়া গ্রামের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী জাহাঙ্গীর আলম অবশেষে জেল হাজতে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ পারিবারিক জজ আদালতের বিচারক মোছা: শবনম মোস্তারী তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম সদর উপজেলার সালন্দর সিংপাড়া (বিলপাড়া) গ্রামের আব্দুর আলীর ছেলে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১০ সালের ২১ জুলাই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর কচুবাড়ি মাটিগাড়া গ্রামের মো: আব্দুর রহমানের কন্যা মোছা: রুমা খাতুনের সাথে একই উপজেলার সালন্দর সিংপাড়া (বিলপাড়া) গ্রামের আব্দুর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরে ২০১৩ সালে তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
দাম্পত্য জীবন চলাকালে জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবার রুমা খাতুনের কাছে যৌতুক দাবী করে। যৌতুক দিতে না পারায় এক পর্যায় নির্যাতন করে রুমা খাতুনকে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে রুমা খাতুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয় জানতে পেরে আসামী জাহাঙ্গীর আলম কৌশলে বিদেশে পাড়ি জমায়। সেই মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এদিকে রুমা খাতুন তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে মানবিক দিনযাপন করতে থাকে, পরে ২০২১ সালের ২৪ মার্চ ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ পারিবারিক জজ আদালতে দেন মোহর ও ভোরণ-পোষনের জন্য ডিক্রী প্রার্থনা করে আদালতে মামলা দায়ের করে। সে মামলায় বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মোছা: শবনম মোস্তারী ২০২৩ সালের ১৪ মার্চ বাদিনীকে দেনমোহর ও ভোরণ-পোষন বাবদ ৮ লাখ ৩১ হাজার ২৩৩ টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেয়। সে টাকা পরিশোধ না করায় আদালত আসামীকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ফজলে আলম বলেন মামলার আসামী বাদিনীকে দেনমোহর ও ভোরণ-পোষন পরিশোধ না করার অপরাধে বিজ্ঞ আদালত দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আসামী বাদিনীকে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ না করলে আবারও হাজত বাস করতে হবে।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/