স্টাফ রিপোর্টার : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পানিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ ও মাহফুজের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী মোকশেদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে তিনি দুই জনের নাম উল্লেখ করে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন-পানিয়া পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুল মজিদ (৪৮) ও মো : মাহফুজ (৩৬)।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, খোরশেদ আলী কালুর টাকার প্রয়োজন হলে নিজ মালিকানা জমি বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিলে, কালুর নাম করে আব্দুল মজিদ জমি ক্রয়কারির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা বায়নামানা গ্রহণ করে। পরে উক্ত বায়নামার টাকা খোরশেদ আলী ৪ অক্টোবর ফেরত চাইলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং এক পর্যায় অভিযুক্ত আব্দুল মজিদ ও তার ছোট ভাই মাহফুজ খোরশেদ আলীর উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং তার স্ত্রী রওশনয়ারা এগিয়ে আসলে তারও উপর হামলা চালায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
পরে খোরশেদ আলীর বড় ভাই মোকশেদ আলী বিষয়টি নিয়ে আব্দুল মজিদ ও মাহফুজের কাছে জানাতে চাইলে তারও উপর হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায় সময় মোকশেদ আলী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায় , মোকছেদ ও তার চাচাতো ভাই মো. আব্দুল মজিদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর, ২০২৪) জুম্মা নামাজের পর মজিদ ও মাহফুজ সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠি-সোঠা নিয়ে মোকছেদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন এ ভাবে বয়স্ক মানুষকে মারাটা ঠিক হয়নি। আমি নিজেই কান্না করে ফেলেছি। এলাকাবাসিরা জানায় আব্দুল মজিদ ও মাহফুজ শিক্ষিত নামের কলঙ্ক। তারা গ্রামের মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে, বিভিন্ন সময়ে মারধর করে। তারা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে গ্রামবাসী তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না।
আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদের সাথে আগে থেকেই পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সে দিনের ঘটনাটি দু:খজনক এবং অনাকাঙ্খিত।
অভিযোগকারি আলমগীর হোসেন বলেন, তারা যে ভাবে আমার বাবা এবং চাচার উপর হামলা চালিয়েছে। এটা কোন শিক্ষিত মানুষের কাজ হয়নি। তাদের অত্যাচারে গ্রামের মানুষও অতিষ্ঠ।
রহিমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু হাসান মোঃ আব্দুল হান্নান (হান্নূ) বলেন ঘটনাটি শুনেছি। তবে কি হয়েছে বিস্তারিত জানতে পারি নাই, কেউ বলেনি। তবে কোন ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/