নিজস্ব প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও : উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। হিমালয় পাদদেশে এ জেলার অবস্থান হওয়ায় শীতের তীব্রতা অনেক বেশী। গত কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না, তাপমাত্রা নেমে এসেছে। সবচেয়ে বিপারে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা । প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের দোকানে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও হাকাচ্ছেন বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পৌর শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাচীর ঘেষা হকার্স মার্কেটে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়।
কাপড় কিনতে আসা পৌর শহরের গোয়ালপাড়া মহল্লার লিপি বেগম জানান, এখানে বাচ্চার জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে । পছন্দ মতো কাপড় কেনা যায় এখানে। একই কথা জানা বিহারী পাড়া মহল্লার আফরোজা বেগমসহ আরও অনেকে।
হর্কাস মার্কেটে কাপড় ব্যবসায়ি রাশেল ইসলাম বলেন, এ বছর নিত্য নতুন, ভাল মানের শীতের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। ক্রেতারা পছন্দ অনুযায়ী কাপড় কিনতে পারেন এবং এখনকার মত শীত থাকলে বেচাকেনাও আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
শীতে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় কাজে যোগদান করতে না পেরে অসহায় হয়ে পরেছেন তারা। সেই সাথে শীতে জড়ো-সড়ো হয়ে গেছে গবাদী পশুও। কেউ কেউ আবার খড়-কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে করছেন শীত নিবারণের চেষ্টা। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় সর্বোাচ্চ ২৭ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ১১ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কিছু স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে শীত যত বাড়বে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তর ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষজন।
https://slotbet.online/