টাঙ্গন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রæতির প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর ঠাকুরগাঁওয়ের সালন্দর শিংপাড়া এলাকায় ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার’ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হলো।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুর দুইটায় এ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন. ঠাকুরগাঁও- আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ ।
মন্ত্রী বলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আইটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ প্রকল্প নিয়েছে সরকার।
শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার’ প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম বলেন ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী দুই বছরের মধ্যে ‘ঠাকুরগাঁও শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ’ নির্মান কাজ শেষ করা হবে। তিনি আরও বলেন সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটির আওতায় দেশের আরও ১৩ টি নতুন জেলায় ১১শ ১৫ কোটি ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের কাজ শুরু হবে।
অবহেলা ও পশ্চাৎপদতা থেকে আলোর দিকমুখিতা হচ্ছে রংপুর বিভাগের উত্তর জনপদের একটি জেলা ঠাকুরগাঁও । সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম আক্ষেপের সুরে বলেন দেরীতে হলেও সরকারের সুনজর পড়েছে এ জেলায় । তিনি শেষে বলেন, ‘ শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার’টি’ চালু হলে এ জনপদ কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে এবং অর্থনীতির গতিশীলতায় বিশেষ ভুমিকা রাখবে ।
২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও বড় মাঠে আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ঠাকুরগাঁও-এ বিশেষ অর্থনীতি অঞ্চল, আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার, পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন, আন্ত:নগর ট্রেন সার্ভিস চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঠাকুরগাঁও পৌরসভাকে আধুনিক মানের শহর রুপান্তরসহ বেশ কিছু প্রতিশুতি দিয়েছিলেন জেলাবাসিকে’ ।
সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয় । খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনে কাজ শুরু হয়েছে। অনেক আগে আন্ত:নগর ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে । কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির প্রায় সাড়ে ছয় বছর পরও ঠাকুরগাঁও পৌরসভার উন্নয়নে ছোঁয়া লাগেনি । এনিয়ে জনরোষা সৃষ্টি হয়েছে ।
পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন- পৌর শহরের রাস্তা-ঘাট, আধুনিকমানের বিনোদনকেন্দ্রসহ বেশকিছু প্রকল্পের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে । একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। টাকা ছাড় পেলেই শহর উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/