রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি: জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় মানবদেহে জিংকের প্রয়োজনীয়তা ও ঘাটতি পূরণে করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা ও মাঠ দিবস পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকালে রানীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর কাদিহাট গ্রামে ‘রিয়েক্টস ইন’ প্রকল্পের মাধ্যমে ও হারভেষ্টপ্লাসের সহযোগীতায় বায়োফর্টিফাইড জিংক সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ চাষ ও জিংক সম্পর্কিত আলোচনা সভা ও মাঠ দিবস পালন করা হয়।
আরডিআরএস বাংলাদেশ এর আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার মো. রাসেল রানা, আরডিআরএস বাংলাদেশ এর টেকনিক্যাল কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহীনূর ইসলাম, মো. রবিউল ইসলাম, ইউনিয়ন কৃষি উপ-সহকারী মো. স্বজল প্রমুখ।
এ সভায় স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীরা অংশনেন।
সভায় জিংকের ঘাটতি পূরণে কৃষকদের জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করতে মানবদেহে জিংক এর গুরুত্ব, জিংক ধানের ফলন, উপকারিতাসহ জিংকের ঘাটতি পুরণে করণীয় বিষয় আলোচনা ও পরামর্শ প্রদান করা হয় ।
আলোচনা সভায় অতিথিরা জিংকের অভাবে শরীরের নানা রোগের কথা তুলে ধরে বলেন, দৈনিক একটি শিশুর জন্য ৫ মিলি গ্রাম, পুরুষের জন্য ১১ মিলি, মহিলাদের জন্য ৯ মিলি এবং গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে ১২ মিলি গ্রাম জিংক প্রয়োজন কিন্তু এর অর্ধেক পরিমাণও আমরা এখন পাচ্ছি না। এ কারণে আমরা শারীরিক নানা রোগে ও অপুষ্টিতে ভূগী। এজন্য জিংকের চাহিদা পূরণে সরকারসহ বেসরকারি সংস্থা গুলো এর ঘাটতি পূরণে জিংক সমৃদ্ধ ধানের চাষ বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে। তাই সকল কৃষককে সুস্থ, সবল ও মেধাবী সমাজ গড়তে বেশি করে জিংক ধান চাষ ও এর ভাত খাওয়ার আহ্বান জানান তারা।
জিংক সমৃদ্ধ ধানের উৎপাদন নিশ্চিত করতে ও কৃষক পর্যায়ে মানসম্পূর্ন ধানের বীজের সরবরাহ এবং স্থানীয় বাজারে এই চাল সহজলভ্য করার লক্ষ্যে আরডিআরএস বাংলাদেশ ও হারভেষ্টপ্লাসের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান হয়।
সভা শেষে প্রদর্শনী প্লটের এক কৃষকের সিংহ ভাগ জমির ধান কর্তন এবং মাড়াই করে ফলন পরীক্ষা করা হয়। এতে ৩৩ শতাংশের একবিঘা জমিতে ফলান পাওয়া যায় ২৫ মণ।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/