• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সংসারের হাল ধরতে চেয়ে নিজেই এখন বোঝা ; গুনতে হচ্ছে মৃত্যুর প্রহর! আজারবাইজানে কপ-২৯ সম্মেলনে ইএসডিওর সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত ২৬ নভেম্বর থেকে সাত দিনব্যাপী খুলনায় বিভাগীয় বইমেলা দেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, জনগণই হবে সকল ক্ষমতার মালিক-প্রধান উপদেষ্টা সাফ ফুটবল জয়ী তিন কন্যাকে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সংবর্ধনা যানজট নিরসনে হিলি পৌর প্রশাসকের মতবিনিময় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল উন্নীতকরণের দাবিতে রাণীশংকৈল মানববন্ধন হিলিতে নিত্যপন্যের বাজার নিয়ন্ত্রন ও যানজট নিরসনে অভিযান বালিয়াডাঙ্গীতে করাতকল মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

গরমে ঝলসে যাচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

Reporter Name / ১৫১ Time View
Update : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রবল দাবদাহের মুখোমুখি। অস্বাভাবিক গরম আবহাওয়ার জেরে বন্ধ স্কুল, জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে। রাজধানী অঞ্চল মেট্রো ম্যানিলা সহ ফিলিপাইন জুড়ে হাজার হাজার স্কুল তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। দেশের ৮২টি প্রদেশের অর্ধেকই খরার সম্মুখীন এবং প্রায় ৩১টি অন্যান্য অঞ্চল শুষ্ক অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছে। ভবিষ্যতে অনুরূপ আবহাওয়ার প্রভাবের জন্য দেশকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

দেশটির আসন্ন ফসল সম্ভবত গড়ের চেয়ে কম হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে এপ্রিল এবং মে সাধারণত উষ্ণতম মাস, তবে এই বছর এল নিনোর কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, এই বছর এখনও পর্যন্ত হিটস্ট্রোকে ৩০ জন মারা গেছে এবং মানুষকে বাইরের কার্যকলাপ এড়াতে সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, বিদ্যুতের চাহিদা ৩৫,৮৩০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে, কারণ লোকেরা গরম থেকে বাঁচতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকছে। রাজধানী ব্যাংককে, বুধবার তাপমাত্রা ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যখন কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সম্ভাব্য ‘তাপ সূচক’ ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করার বিষয়ে সতর্ক করেছে।

আর্দ্রতার মাত্রা বিবেচনা করে এই পরিমাপটি তাপমাত্রা কেমন অনুভূত হয় তা প্রতিফলিত করে। এটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ যখন বাতাস বেশি আর্দ্র থাকে, তখন ঘামের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়।

শুক্রবার ফিলিপাইনের আবহাওয়া সংস্থা মেট্রো ম্যানিলা এবং ৩১টি অন্যান্য এলাকায় বিপজ্জনক তাপমাত্রার পূর্বাভাস দিয়েছিল।

দেশের সবচেয়ে জনবহুল শহর কুইজন সিটিতে তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ তাপমাত্রা এশীয় অঞ্চল জুড়ে শিক্ষা ও কৃষিকে ব্যাহত করেছে। কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশও এই সপ্তাহে সব স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন অনুসারে বাংলাদেশে প্রায় ৩৩ মিলিয়ন শিশু গরমের কবলে পড়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘প্রশাসনকে এখনই জরুরিভাবে উষ্ণতা কমানোর জন্য কাজ করতে হবে, সেইসাথে শিশুদের- বিশেষ করে যারা দারিদ্র, বৈষম্যের শিকার তাদের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ গরম থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করতে মসজিদ ও গ্রামীণ মাঠে জড়ো হয়েছে। ভারতে প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে একটি বিশাল নির্বাচন চলছে। নির্বাচন কমিশন এই সপ্তাহে আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে ভোটারদের উপর গরমের প্রভাব কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের হয়ে প্রচারের সময় একটি বক্তৃতাকালে ভারতের সড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন, পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছিলেন, সমাবেশের সময় উত্তাপের কারণে তিনি অস্বস্তি বোধ করছিলেন।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এই সপ্তাহে একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করেছে যে, এশিয়া ২০২৩ সালে আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানি -সম্পর্কিত বিপদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-বিধ্বস্ত অঞ্চল হিসেবে প্রতিপন্ন হয়েছে। বন্যা এবং ঝড়ের কারণে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি তাপপ্রবাহের প্রভাব আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে এই অঞ্চলে।

গত বছর এপ্রিল এবং জুন মাসে ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহে হিটস্ট্রোকের কারণে প্রায় ১১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এপ্রিল এবং মে মাসে একটি বড় এবং দীর্ঘায়িত তাপপ্রবাহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ অংশকে প্রভাবিত করেছে, যা পশ্চিমে বাংলাদেশ এবং পূর্ব ভারত পর্যন্ত এবং উত্তর থেকে দক্ষিণ চীন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

মানব-সৃষ্ট জলবায়ু সংকট বিশ্বজুড়ে চরম আবহাওয়ার জন্য অনেকটাই দায়ী। তাপতরঙ্গ থেকে বন্যা, এমনকি দাবানল পর্যন্ত আরও ঘন ঘন এবং মারাত্মক বিপর্যয় চলছে। গত দশকের অন্তত এক ডজন সবচেয়ে গুরুতর ঘটনার পেছনে ছিল মানব-সৃষ্ট গ্লোবাল হিটিং। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

আরএম/ টাঙ্গন টাইমস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com