টাঙ্গন ডেস্ক : ২০২২ সালের ১৮ আগষ্ট ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকাসহ একটি ব্যাগ কুড়িয়ে পান বলে জানান শাকির হোসেন সৌরভ (২৮)। আর সে টাকা ফেরৎ দিতে সারা শহড়জুড়ে মাইকিং করা হয়। মাইকিং করার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে চলে তুমুল আলোচনা। বিভিন্ন মানুষ সাধুবাদ জানিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। গণমাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রচারও হয়। কিন্তু নিজের অপকর্ম ঢাকতে সাজানো নাটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, শাকির হোসেন সৌরভ ঠাকুরগাঁওয়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহমুদ মেশিনারির মালিক মাহমুদ আলমের ম্যানেজার ছিলেন। সে পিএইচপি এরাবিয়ান হর্স ঢেউ টিন ও আনোয়ার সিট টিনের ডিলার শীপ পরিচালনা করতেন।
সে সময় উভয়ের যোগসাজসে জেলার রাণীশংকৈলসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে কোম্পানির অফার ও মূল্য ছাড়ের কথা বলে গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডলসহ ৮ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা মাহমুদ আলমের ব্যাংক হিসাব, সৌরভের ব্যাংক হিসাব এবং সৌরভের স্ত্রী ফরিদা পারভিনের ব্যাংক হিসেবে গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন :৮ কোটি টাকা আত্নসাতের মামলায় মাহমুদ ও সৌরভ জেল হাজতে
কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও মাহমুদ আলম ও তার ম্যানেজার সাকির হোসেন সৌরভ ঢেউ টিন ও সিমেন্টের টিন দিতে গড়িমসি করে। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন।
সে মামলায় চলতি মাসের ১১ জুলাই আসামীগণ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁওয়ের বিজ্ঞ বিচারক আরিফুর রহমান আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার আসামীরা হলেন, ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের হাজীপাড়া মহল্লার হাফিজ উদ্দীনের ছেলে মাহামুদ আলম (৫৩), শান্তিনগর মহল্লার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সাকির হোসেন সৌরভ (২৮) ও জাকির হোসেন শাওন (২৪) এবং সৌরভের স্ত্রী ফরিদা পারভিন (২৩)।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ইন্দ্র নাথ রায় বলেন পিআরবি’র তদন্ত প্রতিবেদন সত্যতা মিলায় আসামীগণ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/