রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না এমন অভিযোগ বার বার উঠছিল জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়-কাশিপুর ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম দূর্নীতি করে আসছিলেন তিনি। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হলে ঘটনা তদন্তে তদন্তকারি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকরি কমিশনার তারেক হাসান তাহসিন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে তদন্তকারি কর্মকর্তা নিয়োগ সংক্রান্ত পত্রে জানা গেছে, জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়-কাশিপুর ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ভূমি উন্নয়ন কর সেবার নাম করে ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সম্পর্কিত খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র প্রেরণ করেন। এবং অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন।
উক্ত কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদানের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা জবাব দাখিল করেন। দাখিলকৃত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ভিডিও সম্পর্কিক অভিযোগ তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে বিধি মোতাবেক ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম বলেন, যে জমি খারিজ করতে ১১৭০ টাকা লাগে কিন্তু প্রতিটি খারিজের জন্য দশ থেকে পনের হাজার টাকা গুনতে হয়। শুধু তাই নয় টাকা নিয়েও হয়রানির শিকার হতে হয়। ভূমি কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী দুজনে মিলে জনগনের পকেট কাটছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা তারেক হাসান তাহসিন বলেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় ঘুষ-দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশিত হয়। যার তদন্ত প্রতিবেদন ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/