উপজেলা প্রতিনিধি
পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) : জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেয়ার নাম করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারি শান্তু নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘর না পেয়ে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী এক নারী। শান্তু পীরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের বিশু মোহাম্মদের ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, শান্তু নিজেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারির পরিচয় দিয়ে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রায় দুই বছর আগে পৌর শহরের জগথা (হঠাৎপাড়া গ্রামের) মোবারক আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগমের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা, আয়শার বোন হনুফার কাছ থেকে ১১ হাজার ৫’শ টাকা, ননদ জাহানারার কাছ থেকে ১১ হাজার ৫’শ টাকা এবং মেয়ে মুন্নি আক্তারের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
কিন্তু টাকা নেয়ার দুই বছর গত হয়ে গেলেও ঘর পাইয়ে দেয়নি শান্তু। ঘর না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে কালক্ষেপন করতে থাকে। গত ৬ মার্চ সকালে শান্তুর কাছে টাকা চাইতে গেলে আয়শাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ও চর থাপ্পর কিল ঘুশি মারে। ভবিষ্যতে শান্তু বা তার পরিবারের কোন লোকের কাছে টাকা চাইতে গেলে ওই নারীকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকিও দেন শান্তু।
মারপিটের শিকার হয়ে ঐ নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, শান্তু নিজেকে কখনো পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারি আবার কখনো বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে অনেক জনের কাছে বিভিন্ন কাজ করে দেয়ার নাম করে বহু টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
মারপিট করার অভিযোগ অস্বীকার করে শান্তু বলেন, কাজটা করে দেয়ার জন্য চা খাওয়া বাবদ দুই হাজার টাকা ওই নারী দিয়েছিল। কাজটা না হওয়ায় টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি। কাউকে মারপিট বা গালিগালাজ বা হুমকি দেয়া এবং বিভিন্ন জনের কাজ করে দেয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম বলেন, শান্তুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আকতারুল ইসলাম বলেন, “শান্তু আমার ব্যক্তিগত সহকারি না। সে আমার অফিসে কাজ করত। অভিযোগ পাওয়ার পর অফিস থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
https://slotbet.online/