টাঙ্গন ডেস্ক : খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ছাত্র ও জনতার বিজয়কে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। অনেকে লুটপাট করছে, এরা তাদের লোক, যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। বিএনপির নেতাকর্মীদের এ ব্যাপারে সর্তক ও সাবধান থাকার আহবান জানান।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার বিজয় সমাবেশের দ্বিতীয় দিনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
সকলকে ধৈর্যের সাথে আমাদের এ বিজয় ধরে রাখতে হবে, কোনো ভাবেই যেন নস্যাৎ হতে দেয়া যাবে না। দলের কেউ কোনো অপকর্মের সাথে জড়ানোর সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চরন করেন। তিনি বলেন যারা ধংসাত্বক কর্মকান্ডে জড়িত তারা দেশ ও জাতির শত্রু।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, স. ম. আ. রহমান, সৈয়দা রেহেনা ইসা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে গত ১৬বছর যে সকল পুলিশ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ফ্যাসিস্ট লুটেরা সরকারের সাথে মিলে দেশের জনগনের সাথে প্রতারণা, অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ ও ব্যবসায়ী সংগঠন দখল করেছে তাদেরকে গণদুশমন আখ্যায়িত করে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
কালো তালিকা ভূক্ত হলেন যারা:
রাজনীতিবিদরা হলেন: অবৈধ মাফিয়া হাসিনা সরকারের আমলে যারা বিনাভোটে সংসদ সদস্য, সিটি মেয়র ও সিটি কর্পোরেশনের সকল কাউন্সিলরবৃন্দ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্য, পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য হয়ে জনগণের সম্পদ লুট, জনগণকে নির্যাতন করেছে। অবৈধ শেখ হাসিনার আমলে যে বা যারা খুলনা শিল্প ও বনিক সমিতিসহ যারা ব্যবসায়ী সমিতিগুলো অবৈধভাবে দখল করেছে এবং ব্যবসায়ীদের নির্যাতন করেছেন তারা সকলে।
এ ছাড়া খুলনা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড, তারিক মাহমুদ তারা, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, সদস্য সচিব শেখ শাহজালাল সুজন, আওয়ামী লীগ নেতা গাউসুল আজম, শেখ হাফিজুর রহমান, আনিসুর রহমান বিশ্বাস, এড. ইকবাল হোসেন, এড. আনিসুর রহমান পপলু, জেড এ মাহমুদ ডন, এস এম রাজুল হাসান রাজু, ফয়জুল ইসলাম টিটো, তালাত হোসেন কাউট, সওকত হোসেন, আসাদুজ্জামান রাসেল, ভূমিদস্যু আবেদ আলী, ভূমিদস্যু আসগর আলী তারা বিশ্বাসসহ ৩৪১জন।
পুলিশ সদস্যরা হলেন: কেএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার ও বর্তমান অতিরিক্ত আইজিপি হাইওয়ে পুলিশ মাসুদুর রহমান ভুইয়া, কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রকিবুল ইসলাম, উপ পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন, কেএমপির গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি নুরুজ্জামান, খুলনা সদর থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার কাঞ্জিলাল, খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কামরুজ্জামান, সাবেক ওসি আল মামুন, দৌলতপুর থানার ওসি প্রবীর, সোনাডাঙ্গা থানার সাবেক ওসি মমতাজুর রহমান, কেএমপির এস আই সুকান্ত, আবু সুফিয়ান, খুলনা থানার সাবেক এস আই টিপু সুলতান, এসআই পিযুষ, এস আই হাসান, এস আই মামুন সহ ২৮৭ জন পুলিশ।
সাংবাদিকরা হলেন: মকবুল হোসেন মিন্টু (সাবেক প্রতিনিধি বিটিভি), এস এম নজরুল ইসলাম (সভাপতি-খুলনা প্রেসক্লাব), আবু তৈয়ব মুন্সী (এনটিভির প্রতিনিধি), মামুন রেজা (সাধারণ সম্পাদক, খুলনা প্রেসক্লাব), এস এম জাহিদ হোসেন (বাসস খুলনা প্রতিনিধি), মোহাম্মাদ আলী সনি (সম্পাদক, দৈনিক পূর্বাঞ্চল), তরিকুল ইসলাম (সম্পাদক , দৈনিক সময়ের খবর), আসিফ কবীর (সম্পাদক, দৈনিক জন্মভূমি), মুন্সী মাহাবুব আলম সোহাগ (দৈনিক দেশসংযোগ সম্পাদক), শেখ তৌহিদুল ইসলাম তুহিন ( সম্পাদক, দৈনিক তথ্য), শেখ সেলিম ( সম্পাদক খুলনার অর্থনীতি), মল্লিক সুধাংশু (দৈনিক কালবেলার খুলনা প্রতিনিধি), রকিব উদ্দিন পান্নু (৭১ টিভি প্রতিনিধি), সাহেব আলী (পুর্বাঞ্চল), ফারুক আহমেদ (পুর্বাঞ্চল),আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ (পুর্বাঞ্চল), সুনীল দাশ (প্রতিদিনে বাংলাদেশ), মো. হুমায়ুন কবীর (আজকের তথ্য), মাহবুবুর রহমান মুন্না ( বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোর), হাসান আহমেদ মোল্লা (আজকের খুলনা), আনোয়ারুল ইসলাম কাজল (পুর্বাঞ্চল), আল মাহমুদ প্রিন্স (সময়ের খবর), এস এম ফরিদ রানা (দৈনিক তথ্যের পরিচয়দাতা), বিমল সাহা (দৈনিক প্রবাহ), মোজাম্মেল হক হাওলাদার ( দেশ সংযোগ), এস এম কামাল হোসেন (কোষাধ্যক্ষ খুলনা প্রেসক্লাব), শামীম আশরাফ শেলী (খুলনার অর্থনীতি), ডানিয়েল সুজিত বোস (চ্যানেল আই), শহিদুল ইসলাম (দেশ সংযোগ) সহ ৫৩জন।
এরপর সন্ধ্যায় একটি হোটেলে খুলনা ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন নেতৃবৃন্দ। এছাড়া সমাবেশে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর জাসাস।
এ ইসলাম/টাঙ্গন টাইমস
https://slotbet.online/