• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

রূপরেখায় কী বলা হয়েছিলো

Reporter Name / ৭৯ Time View
Update : শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

তিন জোটের রূপরেখার যে প্রচারপত্র তখনকার সরকার-বিরোধী আন্দোলনরত দলগুলো প্রকাশ করেছিলো তাতে দেখা যায় যে শুরুতে রূপরেখার লক্ষ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছিলো, “স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের দুঃশাসনের কবল হতে মুক্তিকামী জনগণ এরশাদ সরকারের অপসারণের দাবিতে এবং দেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ধারা ও জীবনপদ্ধতি কায়েম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ পুন: প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চলমান গণআন্দোলনে সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছে”।

প্রসঙ্গত, ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ তখনকার সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করেন। টানা নয় বছর ক্ষমতায় থেকে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

এই নয় বছর এরশাদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছিলো রাজনৈতিক দলগুলো। তবে শেষ পর্যন্ত তার পতন হয়েছিলো তুমুল ছাত্র বিক্ষোভে। নয় বছরের ওই আন্দোলনের কর্মসূচিতে মারা গেছে সাড়ে তিনশোর বেশি মানুষ।

তিন জোটের রূপরেখায় আরও বলা হয়েছিলো যে, “এই সংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে জেল-জুলুম-নির্যাতন, এমন কি মৃত্যুকে তুচ্ছ জ্ঞান করে মানুষ অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিচ্ছে একটি প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বমূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।”

এরপরেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না গিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেই কেবল আন্দোলনরত জোটগুলো অংশ নেবে বলে বলা হয় রূপরেখায়।

“দেশবাসী বুকের রক্ত দিয়ে যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, তার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হলো হত্যা, ক্যু প্রভৃতি অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা বদলের অবসান ঘটিয়ে সাংবিধানিক পন্থায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হাত বদল ও হস্তান্তর নিশ্চিত করা। এজন্য আমাদের সংগ্রামের দাবির কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু হলো একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সার্বভৌম সংসদ প্রতিষ্ঠা করা”।

“কিন্তু অসাংবিধানিক ধারায় অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী এরশাদ সরকার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ছলে-বলে-কৌশলে তার ক্ষমতাকে স্থায়ীভাবে কুক্ষিগত রাখার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত অতীতের প্রতিটি নির্বাচনে ভোট চুরি, ভোট জালিয়াতি, ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, এমন কি নির্লজ্জ ভোট ডাকাতি, মিডিয়া ক্যু এবং অবশেষে ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের অব্যাহত প্রক্রিয়া চালিয়ে আসছে।”

রূপরেখায় জোটগুলো দৃঢ় অঙ্গিকার করে যে তারা মনে করে এই সরকারের (তখনকার এরশাদ সরকার) অধীনে কোনো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।

“এরশাদ ও অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচনে আমরা ১৫, ৭ ও ৫-দলীয় ঐক্যজোট অংশ গ্রহণ করব না, তা রাষ্ট্রপতি বা সংসদ যে কোনো নির্বাচনই হোক না কেন। এসব নির্বাচন শুধু বর্জনই নয়, প্রতিহতও করব। একমাত্র একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আমরা ১৫, ৭ ও ৫-দলীয় ঐক্যজোট কেবলমাত্র সার্বভৌম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অংশ গ্রহণ করব,” রূপরেখায় বলা হয়।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “রূপরেখায় কী বলা হয়েছিলো”

  1. […] দাবি ও লক্ষ্য সমূহ পরিণতি যা হলো রূপরেখায় কী বলা হয়েছিলো এরশাদ পতনের পর তিন জোটের ঘোষিত […]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com