মো: রেদওয়ানুল হক মিলন: ইদানীং আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে। তুচ্ছ কারণেও আত্ম অভিমানী মানুষ অনেক সময় দুঃখজনক আত্মহত্যাকে বেছে নেয়। যে কোন বয়সের যে কোন মানুষ যখন বিষণ্ণতায় ভুগতে শুরু করবে নিকট জনদের দায়িত্ব হচ্ছে দেরী না করে ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হওয়া। প্রয়োজনে বাইরে থেকে সুখী হরমোন নেওয়া। আপনি যখনই বিষণ্ণতায় ভুগছেন বুঝতে পারবেন চেষ্টা করবেন ব্যস্ত থাকতে অন্য অনেকের সাথে আড্ডায় থাকতে। কে কি ভাবল কে কি বলল এসবের দিন শেষ সবার আগে প্রয়োজন নিজেকে ভালো রাখা। যখনই আত্মহত্যার কথা মাথায় আসবে চেষ্টা করবেন যা ভালো লাগে তাই করতে। এতে যদি অল্প পরিসরে কিছুটা ক্ষতিও হয় তবুও।
সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন শরীরকে সচল রাখা। কোন না কোন ফিজিক্যাল একটিভিটিতে থাকা। নিজের কাজ নিজে করা। হতদরিদ্র মানুষকে সাহায্য করুন, অথবা সরকারি হাসপাতাল গুলোতে ঢু-মারুন। কিছু না পারলে হাঁটতে থাকুন হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হন। শারীরিক পরিশ্রম আপনার মাঝে সুখী হরমোন নিঃসরিত হতে সাহায্য করে।
প্রায় এক মাস থেকে ছোট পর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর অসংখ্য ছবি নেট দুনিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। শৈশবে পিতা-মাতা বিচ্ছিন্ন মেয়েটি মায়ের মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ একা হয়ে যায়। সঙ্গী বলতে কেবলই প্রেমিক। সেই প্রেমিকও যখন বিশ্বাস ঘাতকতা করল বেঁচে থাকার আর কোন মানে খুঁজে পেলো না মেয়েটি। মৃত্যুকেই আপন করে নিল। যদিও এই লেখা পর্যন্ত জানা সম্ভর হয়নি এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
জীবনের সব চাওয়া কখনো পূর্ণ হওয়ার নয়। জটিলতা না পাওয়া অপমান অপদস্ত অসহায়ত্ব প্রতারিত হওয়া দুরভিসন্ধি সম্পন্ন মানুষের কুৎসিত রূপ আপনার সামনে আসবেই আর এগুলোকে সহজ ভাবে মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নামই হচ্ছে ”জীবন। অনেকের জীবনই অনেক সহজ বলে আপনার জীবনও সহজ হবে এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। তাদের জীবনের অন্তর্নিহিত না পাওয়া আর কষ্টের সন্ধান আমাদের করে লাভ নেই।
ছলচাতুরী বা মিথ্যার বেসাতী করে যে ভালো থাকা তা কেবল লোক দেখানোর জন্য। একটু সময় নিন, নিজের সাথে নিজে কথা বলুন। আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি তার ইচ্ছায়, সম্পূর্ণ খালি হাতে। ফিরেও যাবো খালি হাতে। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া অফুরান যে সম্পদ আলো বাতাস শীত বৃষ্টি উপভোগ করুন আর বলুন ”জীবন তুমি কত সুন্দর।” দেখবেন জীবনটা সহজ হবে।
ভাবছেন আমি লিখতে পারছি কারণ আমার জীবনে কোন সমস্যা নেই। ভুল ভাবছেন, আছে কিন্তু আপনাদের তা দেখাবো না আর এটাই নিয়ম। আরেকটি কথা মানুষের অর্থ আর সম্পদ দিয়ে কখনো সুখ কিংবা ভালো থাকা বিচার করতে নেই। এ শহরের বেশীরভাগ ধনী পরিবারের সন্তান ইয়াবা আসক্ত জিজ্ঞেস করলে শুনবেন ”হতাশা।
অতএব যার যা আছে তাই নিয়েই ভালো থাকুন। অন্যকে দেখে হিংসা কিংবা অতীত নিয়ে আফসোস করা ছেড়ে দিয়ে বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন। যে কোন পরিস্থিতে হাসার চেষ্টা করুন। আপনার চারিপাশে সৎ ভালো মানুষ আর সত্যিকারের শুভাকাঙ্ক্ষীর উপস্থিতি জোগাড় করতে পারাটাও যোগ্যতা।
লেখক, গণমাধ্যমকর্মী।
https://slotbet.online/