• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সংসারের হাল ধরতে চেয়ে নিজেই এখন বোঝা ; গুনতে হচ্ছে মৃত্যুর প্রহর! আজারবাইজানে কপ-২৯ সম্মেলনে ইএসডিওর সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত ২৬ নভেম্বর থেকে সাত দিনব্যাপী খুলনায় বিভাগীয় বইমেলা দেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, জনগণই হবে সকল ক্ষমতার মালিক-প্রধান উপদেষ্টা সাফ ফুটবল জয়ী তিন কন্যাকে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সংবর্ধনা যানজট নিরসনে হিলি পৌর প্রশাসকের মতবিনিময় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল উন্নীতকরণের দাবিতে রাণীশংকৈল মানববন্ধন হিলিতে নিত্যপন্যের বাজার নিয়ন্ত্রন ও যানজট নিরসনে অভিযান বালিয়াডাঙ্গীতে করাতকল মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

খুরা রোগের প্রকোপ, গরুর মৃত্যুতে দিশেহারা কৃষক

Reporter Name / ৪০০ Time View
Update : সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপকহারে দেখা দিয়েছে গরুর ক্ষুরা রোগের প্রকোপ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক ও ক্ষুদ্র খামারীরা। ভ্যাকসিন সংকট আর প্রাণী সম্পদের ভ্যাটেনারী ডাক্তারের পরামর্শ ফি দিতে গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এতে প্রাণী সম্পদের দিক থেকে মুখ ফিরে নিচ্ছেন অনেকে।

সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিংগীয়া, ঘোষপাড়া, জগন্নাথপুর, নারগুন, বেগুনবাড়িসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে গরুর খুরা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কাঁপে কাঁপে জ্বর আসছে, মুখ দিয়ে লালা পড়ছে, হুট করে পড়ে মারা যাচ্ছে। মারা যাওয়ার গরুর সংখ্যাও কম নয়। গরু মারা যাওয়ায় অনেক কৃষক ও ক্ষুদ্র খামারি নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিংগীয়া ঘোষপাড়া গ্রামের পারবর্তী ঘোষ বলেন আমার তিনটা গরু ছিল। গাভীর দুধ বিক্রী করে সংসার চালাই, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাই। তিনটি গরুর দাম ছিল প্রায় ৩ লাখ টাকা কিন্তু গরু মারা যাওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। একই গ্রামের অনিতা রাণী কেঁদে কেঁদে বলেন আমার আয় রোজগারের একমাত্র উপায় ছিল ৩টি গাভী, কিন্তু গাভী গুলো মারা যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। কি ভাবে চলবো উপায় খুজে পাচ্ছি না।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিংগীয়া গ্রামের কামিনী রায় বলেন ছোট ডাক্তার দিয়ে কাজ হয় না, বড় ডাক্তার আনতে হয়। প্রাণী সম্পদের বড় ডাক্তার আসলে আড়াই হাজার, দুই হাজার, তিন হাজার টাকা দিতে হয়। অনেকে ভিজিটের জন্য বড় ডাক্তারের কাছে যায় না। উপায় না পেয়ে গরু বিক্রী করে দিতে হচ্ছে। একই গ্রামের প্রমিলা ঘোষ বলেন কাঁপে কাঁপে জ্বর আসছে, মুখ দিয়ে লালা পড়ছে, হুট করে পড়ে মারা যাচ্ছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে ১৫টি গরু মারা গেছে। আমাদের বাড়িতে ৭টি গরু ছিল, কমদামে বিক্রী করে দিতে হয়েছে।

সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের কৃষক কুশুদেব বর্মন বলেন এলাকায় প্রাণী সম্পদের লোক-জনের কোন দেখা পাওয়ায় যায় না। প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে গেলে সেখানেও পাওয়া যায় না। আগে থেকেই ভ্যাকসিন সরবরাহ করলে এই অবস্থা তৈরী হতো না।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা : হেমন্ত কুমার রায় ভ্যাকসিন সংকটের কথা জানিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ক্যাম্পেইন, উঠান বৈঠক করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি শুনেছি, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “খুরা রোগের প্রকোপ, গরুর মৃত্যুতে দিশেহারা কৃষক”

  1. porcelainlike xyandanxvurulmus.BxTsc7lOByM3

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com
https://slotbet.online/
HTML Snippets Powered By : XYZScripts.com