নিজস্ব প্রতিবেদক
ঠাকুরগাঁও : এক লাখ বিশ হাজার টাকার চেকে ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা বসিয়ে চেক ডিজঅনার করে আদালতে মামলা করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। আর এই হয়নির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন স্কুল শিক্ষিকা মমতা রাণী।
রবিউল ইসলাম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লী থানার বালিয়া ইউনিয়নের বগুলাডাঙ্গী গ্রামের মোতালেবের ছেলে এবং মমতা রাণী একই উপজেলার সালন্দর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা সমারু বর্মণের মেয়ে। তবে গত ডিসেম্বরে চেকবই নিখোঁজে সদর থানায় সাধারণ ডায়রী করেন মমত
জানা গেছে, মমতা রাণীর স্বামী কালিদাস চলতি বছরের ৬ জুন একই এলাকার বজলুর রশিদের ছেলে আল মামুমের কাছে ১ লাখ ২০হাজার টাকার চেক লিখে সেই সম পরিমান টাকা ধার নেয়। যে চেকটি ছিল কালিদাসের স্ত্রীর নামে অগ্রণী ব্যাংক, মুন্সির হাট ঠাকুরগাঁও শাখার হিসাব নাম্বার-০২০০০১২০০৪৯৯৪। সেই চেকটি পরবর্তীতে মামুন তার আতœীয় রবিউল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করে। রবিউল ইসলাম জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ১লাখ ২০হাজারের স্থলে ১১লাখ ২০হাজার টাকা এবং ৬ তারিখের স্থলে ১৬ তারিখ বসিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে। কিন্তু সেই সমপরিমান টাকা না থাকায় গত ৮ আগস্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করে। সেই ডিজঅনারকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে বাদী হয়ে মমতা রানীর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন রবিউল।
ভুক্তভোগী মমতা রাণী বলেন, ২০২২ সালের নভেম্বর আমার ব্যাংক হিসাব নাম্বারের একটি চেকবই হারিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি। পরে একদিন আল মামুন আমাকে বলে আপনার স্বামী আমার কাছে ১লাখ ২০হাজার টাকা ধার নিয়েছে। বিষয়টি জানার পরে স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে কয়েকজনের উপস্থিতিতে ৭০হাজার টাকা মামুনকে দিয়ে বাকি টাকা পরিশোধের আরো সময় চাওয়া হয়। এরইমধ্যে মামুনের ভাই জনি আমার স্কুলে এসে আমাকে একথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। একদিন মামুনের ভাই জনিসহ ১২জন আমার পথরোধ করে ভয় দেখিয়ে তাদের গাড়িতে তোলার চেস্টা করে। এ সময় আমার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ভুল্লী থানায় একটি অভিযোগও করেছি আমি।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর থেকে আমার স্বামী পলাতক । তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সন্ধান মিলছে না। আমার চেক আরেক জনের কাছে হস্তান্তর করেছে এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। বর্তমানে শিশু সন্তান ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আল মামুন জানান, মমতা রানীর স্বামী আমার কাছ থেকে ১লাখ ২০হাজার টাকা ধার নেয়। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করলে কয়েক দফায় আমাকে টাকা দেয়। তবে তার স্বামী আমাকে কোন চেক দেয়নি। আমার সাথে স্ট্যাম্পে লেখাপড়া হয়।
আর রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি মমতার কাছে ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা পাই। টাকা না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি।
এ বিষয়ে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ দুলাল উদ্দীন জানান, চেক জালিয়াতির অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান। তা ছাড়া আমি নতুন। তবে শুনেছি মমতা রাণীকে একদল যুবক আটক করেছিলো। তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
https://slotbet.online/